ডেস্ক নিউজ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে সংস্কৃতিই পারে আমাদের মনের দূরত্ব কমিয়ে আনতে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশিত বিভিন্ন বই বাংলাদেশে সহজলভ্য। কিন্তু বাংলাদেশে প্রকাশিত বই পশ্চিমবঙ্গের পাঠক সহজে পায় না। তাই কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলা সে অভাব ঘুচিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বিকেলে কলকাতায় ‘৭ম বাংলাদেশ বইমেলা-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান হয়।
কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলার উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’এর সাধারন সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, সংস্কৃতি শহর কলকাতায় বাংলাদেশের এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে আমি আপ্লুত যা বাঙালি সংস্কৃতির জন্য ইতিবাচক দিক। এই মেলা আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাঙালির ঐহিত্যকে শেকড়ের সাথে যোগসূত্র স্থাপনে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতি বন্ধনের জন্য বই একটি অপরিহার্য বস্তু। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলা সাহিত্যের বইমেলা আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে।
উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রকাশকদের বই পশ্চিমবঙ্গের আগ্রহী পাঠকদের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের নিজম্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐহিত্য আরো বিকশিত হবে।
উদ্বোধনী অনষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর গান ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আবৃত্তি পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের এই বইমেলা আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। (বাসস)